শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ | Congress : কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ কংগ্রেসের

Sumit | ০২ জুন ২০২৪ ১৯ : ১২Sumit Chakraborty


বীরেন ভট্টাচার্য দিল্লি, কেন্দ্রীয় সরকার, বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ কংগ্রেসের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে জেলা শাসকদের সঙ্গে ফোনালাপ করার অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। পাশাপাশি অজয় মাকেনের দাবি, এআরও অফিসারের সামনে গণনা এজেন্টদের বসায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। দুটি বক্তব্য নিয়েই কমিশনের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব।

নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ লেখেন, "জেলা শাসকদের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করছেন বিদায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত ১৫০ জন জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। এটা ভীতির পরিবেশ তৈরির চেষ্টা এবং এর থেকে প্রমাণিত হয়, বিজেপি কতটা মরিয়া। পরিষ্কার বার্তা, মানুষের রায় বেরিয়ে আসবে ৪ জুন। মোদি এবং শাহের বিদায় হবে। বিজেপি ক্ষমতাচ্যূত হবে। জয় হবে ইন্ডিয়া জোটের। সরকারি আধিকারিকদের চাপের মুখে মাথা নত করা উচিত নয় এবং সংবিধানকে রক্ষা করা উচিত। তাঁদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে।" কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশ জানিয়েছে, কোনও সরকারি আধিকারিক, জেলা শাসকের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়নি। আজ জয়রাম রমেশকে নোটিশ পাঠিয়েছে কমিশন। সেখানে কমিশনের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে, " আপনি একটি জাতীয় দলের একজন প্রবীণ নেতা। ঘটনা এবং সত্যের ওপর দাঁড়িয়ে আপনার মন্তব্য করা উচিত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৫০ জন জেলা শাসককের বৈঠকের যে অভিযোগ আপনি করেছেন, তার সপক্ষে তথ্য প্রমাণ পেশ করুন। যাতে আইন অনুযায়ী, পরবর্তী পদক্ষেপ করা যায়।" কমিশনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, "আদর্শ আচরণ বিধি কার্যকর হওয়ার পর থেকে সমস্ত সরকারি আধিকারিকরা নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন থাকেন এবং যে কোনও বিষয়ে তাঁরা কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। কোনও জেলা শাসকের ওপর আপনার তোলা অভিযোগ মত, কোনও চাপ সৃষ্টি করা হয়নি।" যদিও কমিশনের চিঠির পাল্টা জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, "কংগ্রেস দলের নির্বাচন কমিশনের ওপর পুরোপুরি আস্থা রয়েছে। তবে যেভাবে তারা সম্প্রতি কাজ করছে, তার ফলে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।" রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, "নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তবে তাকে নিরপেক্ষ হতে হবে। মানুষ শুধুমাত্র প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলগুলিকেই নয়, নির্বাচন কমিশনকেও দেখছেন। যদিও কমিশন যেভাবে কাজ করছে, তারফলে তাদের ওপর বিশ্বাস রাখা যাচ্ছে না।"

এদিকে, গণনা কেন্দ্রে বিরোধীদের এজেন্ট বসা নিয়েও কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। দলের নেতা অজয় মাকেনের দাবি, এই প্রথমবার এআরও বা অ্যাসিসট্যান্ট রিভিউ অফিসারের সামনে বসতে দেওয়া হবে প্রার্থীর গণনা এজেন্টকে। তিনি অভিযোগ করেছেন, "অতীতে আমি ৯বার লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছি। তবে এই বিষয়টি এই প্রথমবার হতে চলেছে। যদি সত্যি হয়, তাহলে ইভিএমের রিগিং এর থেকেও এটা অনেক বড় দুর্নীতি হবে। সমস্ত প্রার্থী হয়ে বিষয়টি আমি তুলে ধরছি। নির্বাচন কমিশনের উচিত এই বিষয়টি সংশোধন করা।" যদিও দিল্লি নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এআরও এর সামনেই বসতে দেওয়া হবে প্রার্থীদের গণনা এজেন্টকে।




বিশেষ খবর

নানান খবর

শীঘ্রই আসছে...

নানান খবর



সোশ্যাল মিডিয়া



06 24